বাংলাদেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দাওয়াতুল কুরআন চালু হচ্ছে এবং আগামীকাল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। উদ্বোধনের পর ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা দেড়শো’র বেশি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে এই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হবে।

এর আগে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশে আলাদা কোন মাদ্রাসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া মূলধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও হিজড়াদের পড়ানোর কোন ব্যবস্থা নেই।

এই মাদ্রাসায় মূলত কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষাও দেয়া হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। ফলে এখান থেকে পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কারিগরী পেশায় যুক্ত হতে পারবেন।
এই শিক্ষার্থীদের পড়াতে ১০জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদ্রাসায় পড়ার ক্ষেত্রে কোন বয়স সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি, অর্থাৎ হিজড়া জনগোষ্ঠীর যে কোন বয়সের মানুষ এই মাদ্রাসায় ভর্তি হতে পারবেন।

এখানে পড়াশুনা করতে শিক্ষার্থীদের কোন খরচ গুণতে হবে না। মি. হুসাইনী জানান, মরহুম আহমদ ফেরদৌস বারী চৌধুরী ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে মাদ্রাসাটির যাবতীয় কার্যক্রম চলবে।

সব উদ্যােগের মধ্যে এটি দারুণ একটি উদ্যােগ। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করি তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে সুন্দর পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। আপনাদের জন্য শুভকামনা।

যেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় / সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান এত দিনেও করতে পারে নি। সেটি আপনারা করে দেখিয়েছেন। এবার যদি তাঁদের চোখ খুলে। অবহেলিত হিজড়া জনগোষ্ঠী সহ গৃহহীন সুবিধা বঞ্চিতদের নিয়েও এখনই ভাবা খুব জরুরি। তাঁদের সন্তানরাও সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অনেক অনেক সময় চলে গেসে। তাঁদেরও শিক্ষার প্রয়োজন। নৈতিক জ্ঞান প্রয়োজন। দয়া করে তাঁদের আর কষ্টের জীবন যাপন করতে দিয়েন না। সকল সুবিধা প্রদান করা সহ শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেন। মনে রাখা উচিত তাঁরাও মানুষ। আল্লাহ সহায় হোন। আমাদের হেফাজত করেন।

নাম – দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদরাসা।
প্রতিষ্ঠাতা – হাফেজ মাওলানা মুফতি আবদুর রহমান আজাদ।
পৃষ্ঠপোষকতায় – মরহুম আহমেদ ফেরদৌস বারী চৌধুরী ফাউন্ডেশন।

Nayon Sorkar
বিস্তারিত – https://bbc.in/2I5WKmq